সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিক্কুল এলাকায় সিইএইচআরডিএফ এর উদ্যোগে ১ কিলোমিটার নালা থেকে তিন দিন ব্যাপী বর্জ্যমুক্ত সম্প্রদায় এবং স্যানিটেশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

সিইএইচআরডিএফ এর প্রধান নির্বাহী মো. ইলিয়াছ মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্যমুক্ত সম্প্রদায় এবং স্যানিটেশন কার্যক্রম কমিটির এর আহ্বায়ক রুহুল আমিন এর স্বাগত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

প্রোগ্রামটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব পালন করেন সদস্য সচিব মোহাম্মদ শরিফ।

সিইএইচআরডিএফ এর পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান ব্যবস্থাপক(সিজিএস)সাইদ মোহাম্মদ শুভ,এক্টিং কো-অর্ডিনেটর(স্পেশাল) জিহাদুল ইসলাম, ফোকাল অর্গানাইজার (সমন্বয়) হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার মেট্রোপলিটন ক্লাস্টার সেক্রেটারি মইন উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক নাছির উদ্দিন সোহেল, সদর পশ্চিম ফোরামের সমন্বায়ক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ব্যবস্থাপক ফয়জুল ইসলাম প্রমুখ।

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ : দুই দিনে আহত ৫

এলাকাবাসীর পক্ষে অংশগ্রহণ করেন দক্ষিণ ডিক্কুল বায়তুল লতিফ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব আব্দ সালাম, মোহাম্মদ নুরু(মাইজ্জা)আবুল কালাম।

ছাত্র ও যুব সমাজের পক্ষে নুরুল আবছার, মোর্শেদ খান, রোবায়েত খান,মোরশেদ,সাইফুল,আকতার হোসেন,সাহেদ,শাহিন,সোহেল। তারুণ্যের আলো একতা সংঘের নজিবুল ইসলাম আরজু, জহির উদ্দিন, আহমেদ হোসাইন বাবু,রিফাতুল ইসলাম, মেহেদী হাসান,সামজু,সোহেল, আরমান,সাজ্জাদ হুসাইন, হাফেজ রমজান আলী,আজাদ স্থানীয় তরুণরা উপস্থিত ছিলেন।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. ইলিয়াছ মিয়া বলেন বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ বর্জ্য। কঠিন বর্জ্য ল্যান্ডফিলে বর্জ্যের অ্যানেরোবিক ক্ষয় থেকে মিথেন তৈরির মাধ্যমে এবং আমাদের কঠিন বর্জ্য দহন সুবিধা থেকে নাইট্রাস অক্সাইড নির্গমনের মাধ্যমে সরাসরি গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনে অবদান রাখে।

বর্জ্য পোড়ানো হল বিপজ্জনক কার্সিনোজেন যেমন ডাইঅক্সিন এবং ফুরান, এবং কালো কার্বন, একটি স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষণকারী যা জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে, তুষার এবং বরফের উপর কাচ এবং কালো কার্বন জমার কারণে মেরু অঞ্চলে গলে যাওয়া বৃদ্ধি, এবং অসংখ্য মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা।

বর্জ্য হ্রাস করা শুধুমাত্র পরিবেশকে রক্ষা করবে না বরং খরচও সাশ্রয় করবে বা নিষ্পত্তির জন্য খরচ কমবে। একইভাবে, উৎপাদিত বর্জ্য পুনর্ব্যবহার  অথবা পুনঃব্যবহার করা সম্পদ আহরণের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে এবং দূষণের সম্ভাবনা কমিয়ে পরিবেশের উপকার করে।


বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পুনর্ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত সুবিধা রয়েছে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অনুশীলন বায়ু, জল এবং মাটি দূষণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পুনর্ব্যবহার করা ল্যান্ডফিল এবং পুড়িয়ে ফেলার প্রয়োজনীয়তাও হ্রাস করে, যা পরিবেশে ক্ষতিকারক দূষণকারীকে ছেড়ে দিতে পারে।সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধা ও রয়েছে যেমন পরিবেশ সংরক্ষণ, খরচ সঞ্চয়, সম্প্রদায়ের ব্যস্ততা এবং খ্যাতি এবং নিয়ন্ত্রক সম্মতি।

সাইদ মোহাম্মদ বলেন প্লাস্টিক একটি অপচনশীল দ্রব্য । এটি নালায় জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে, নালা থেকে প্লাস্টিক অপসারণের মাধ্যমে আমাদের সবাইকে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে। আমরা দেখছি ইদানীং সময়ে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে যার কারণ জলাবদ্ধতা।

জিহাদুল ইসলাম বলেন আমরা সিঠি কর্পোরেশন বা পৌরসভাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা আছে বা করে থাকে কিন্তু ইউনিয়ন এর অন্তর্গত এলাকাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন ব্যবস্থা নেই। তিনি স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বা সিটি,পৌর এলাকার কাছাকাছি এলাকা গুলোতেও সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানান।

আব্দু সালাম সিইএইচআরডিএফ কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন সামনে বর্ষাকল,বর্ষাকালে নালার সব ময়লা রাস্তায় ওঠে আসে যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত করে যা চলতি বছর আর ভোগতে হবে না । তিনি অনুরোধ করেন সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে যেন এলাকার সর্ব সাধারণকে সচেতন করা হয়। এতে তিনি সকল ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।


ছাত্র ও যুব সমাজের পক্ষে নুরুল আবছার বলেন এ ধরনের কাজে তরুণদের সম্পৃক্ত করায় আমরা সিইএইচআরডিএফ এর প্রতি কৃতজ্ঞ।যেকোনো এলাকা সুন্দর,পরিপাটি, দূষণমুক্ত রাখতে এলাকার যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণরা চাইলে যেকোনো কিছু সম্ভব। তিনি আরও বলেন দক্ষিণ ডিককুল এর যুব সমাজ এই কার্যক্রম সামনেও অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ।

ছাত্রনেতা মোর্শেদ খান বলেন সিইএইচআরডিএফ উদ্যোগে নালা থেকে প্লাস্টিক অপসারণ কার্যক্রম অংশগ্রহণ করে ভালো লাগছে,এভাবে আমরা যদি আমাদের গ্রাম, শহর আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি তাহলে আমাদের পরিবেশ, স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে। এতে এলাকার সকল তরুণদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।


বর্জ্যমুক্ত জনগোষ্ঠী ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বায়ক মোহাম্মদ শরিফ বলেন আমাদের কার্যক্রমে এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি, তরুণ, ছাত্র সমাজ, স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। সবাই তীব্র গরমের মধ্যেও সারাদিন সময় দিয়ে নালা থেকে প্লাস্টিক, বর্জ্য অপসারণ করেছে, অনেক কষ্ট করেছে।

ভবিষ্যতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তরুণরা আগ্রহ প্রকাশ করেছে।সিইএইচআরডিএফ এর উদ্যোগে তাদের একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি করে দেওয়া হবে যেন তারা একটি বর্জ্য মুক্ত সম্প্রদায় গড়ে তুলতে পারে। পরিশেষ যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সবাইকে সিইএইচআরডিএফ পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

খবর পড়ুন:

জেলায় শ্রেষ্ঠ হওয়ায় অধ্যক্ষ ক্য থিং অং সহকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত

জেলায় শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারি অফিসার মহসিন ও শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী সোলায়মান